Dhaka ০৪:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেটের ঘোষণা আগামী নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে : আলী রীয়াজ ট্রাম্প-জিনপিং তৈরি করবে না, মোদিও ধাক্কা দিয়ে কিছু করতে পারবে না রোববার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা কারিগরি শিক্ষার্থীদের জুলাই গণঅভ্যুত্থান যাতে ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ ইন্টারপোলে শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন বিচার-সংস্কার-গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে মাঠে নামছে এনসিপি তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন হুনানের গভর্নর

আগরতলায় ও ত্রিপুরায় যথাযথ মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:১৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ১৬৮ Time View

আগরতলায় ও ত্রিপুরায় যথাযথ মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে আজ সকালে সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সহকারী হাই-কমিশন, আগরতলা ও ত্রিপুরা সরকারের যৌথ উদ্যোগে “শিক্ষা সমাজে হোক বহু ভাষার লালন” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। 

শোভাযাত্রাটি রবীন্দ্র শতবার্ষিকী থেকে যাত্রা শুরু করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ করে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে গিয়ে সমাপ্তি হয়। এরপর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গণে ভাষা শহীদদের স্মরণে অস্থায়ী শহীদ পুষ্পস্তর্বক অর্পণ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ত্রিপুরা সরকারে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, রাজস্ব ও মৎস্য দপ্তর নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা মন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ, বাংলাদেশ সহকারী হাই-কমিশনার মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, সালাম, বরকত, রফিক, জাব্বার ও শফিউলসহ সকল ভাষা শহীদদের স্মরণের পাশাপাশি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি বাঙ্গালি জাতীর বঞ্চনা ও নির্যাতন থেকে মুক্তির লক্ষ্যে স্বাধীনতা অর্জনের সুদীর্ঘ সংগ্রামে ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত নেতৃত্ব দিয়েছেন যার ফলশ্রুতিতে বাঙ্গালির স্বাধীকার আদায়ের ধারাবাহিকতায় ভাষা, সংস্কৃতি ও স্বকীয়তার ভিত্তিতে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ। তিনি আরও বলেন, যে জাতির ভাষা সংস্কৃতির শিকড় যত গভীর সে জাতির ভবিষ্যৎ তত উজ্জ্বল।

এরপর ত্রিপুরার বিভিন্ন ভাষাবাষী তাদের নিজ নিজ ঐতিহ্যবাহী পোষাকে সজ্জিত হয়ে মঞ্চে এসে মাতৃভাষার তাদের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দূতাবাস প্রাঙ্গণে ভাষা শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট দাড়িয়ে নিরবতা পালন, বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেয়া বাণী পাঠ করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেটের ঘোষণা

আগরতলায় ও ত্রিপুরায় যথাযথ মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত

Update Time : ০৩:১৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

আগরতলায় ও ত্রিপুরায় যথাযথ মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে আজ সকালে সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সহকারী হাই-কমিশন, আগরতলা ও ত্রিপুরা সরকারের যৌথ উদ্যোগে “শিক্ষা সমাজে হোক বহু ভাষার লালন” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। 

শোভাযাত্রাটি রবীন্দ্র শতবার্ষিকী থেকে যাত্রা শুরু করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ করে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে গিয়ে সমাপ্তি হয়। এরপর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গণে ভাষা শহীদদের স্মরণে অস্থায়ী শহীদ পুষ্পস্তর্বক অর্পণ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ত্রিপুরা সরকারে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, রাজস্ব ও মৎস্য দপ্তর নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা মন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ, বাংলাদেশ সহকারী হাই-কমিশনার মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, সালাম, বরকত, রফিক, জাব্বার ও শফিউলসহ সকল ভাষা শহীদদের স্মরণের পাশাপাশি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি বাঙ্গালি জাতীর বঞ্চনা ও নির্যাতন থেকে মুক্তির লক্ষ্যে স্বাধীনতা অর্জনের সুদীর্ঘ সংগ্রামে ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত নেতৃত্ব দিয়েছেন যার ফলশ্রুতিতে বাঙ্গালির স্বাধীকার আদায়ের ধারাবাহিকতায় ভাষা, সংস্কৃতি ও স্বকীয়তার ভিত্তিতে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ। তিনি আরও বলেন, যে জাতির ভাষা সংস্কৃতির শিকড় যত গভীর সে জাতির ভবিষ্যৎ তত উজ্জ্বল।

এরপর ত্রিপুরার বিভিন্ন ভাষাবাষী তাদের নিজ নিজ ঐতিহ্যবাহী পোষাকে সজ্জিত হয়ে মঞ্চে এসে মাতৃভাষার তাদের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দূতাবাস প্রাঙ্গণে ভাষা শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট দাড়িয়ে নিরবতা পালন, বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেয়া বাণী পাঠ করা হয়।