Dhaka ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অস্ট্রেলিয়াকে নাটকীয়ভাবে ২ রানে হারালো ইংল্যান্ড

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৫৯:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১১৬ Time View

ক্রীড়া ডেস্ক: তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই রানের জয় পেয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। সাউদাম্পটনে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ইয়ন মর্গ্যানের নেতৃত্বে ব্যাটিংয়ে নেমে ডেভিড মালানের অর্ধ শতক রানে সাত উইকেটে দলীয় ১’শ ৬২ রান করে ইংল্যান্ড।

ইংল্যান্ডের করা ১৬২ রানের জবাবে ১ উইকেটে ১২৪ রান করে ফেলার পরেও জিততে পারেনি পারেনি অ্যারন ফিঞ্চের দল। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস থেমেছে ১৬০ রানে। চতুর্থবারের মতো ২ বা তার কম রানে জিতল ইংল্যান্ড, অজিরা তৃতীয়বারের মতো হারল ২ রানে।

অথচ রান তাড়া করতে নেমে অজিদের উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ। দুজন মিলে মাত্র ১১ ওভারেই করে ফেলেন ৯৮ রান। মাত্র ৬২ ইনিংসে টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসেবে ২০০০ রানের মাইলফলকে পৌঁছান ফিঞ্চ। তার সামনে শুধু বিরাট কোহলি, ৫৬ ইনিংসে করেছিলেন ২০০০ রান।

মাইলফলকের দেখা পেলেও ফিফটি করতে পারেননি অজি  অধিনায়ক, ১১তম ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৭ চার ও ১ ছয়ের মারে খেলেন ৩২ বলে ৪৬ রানের ইনিংস। তবে অপরপ্রান্তে ক্যারিয়ারের ১৮তম অর্ধশতক তুলে নেন ডেভিড ওয়ার্নার। আউট হওয়ার সময় তার নামের পাশে ছিল ৪৭ বলে ৫৮ রান।

তবে হতাশ করেন স্টিভেন স্মিথ ১১ বলে ১৮, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২ বলে ১, অ্যালেক্স ক্যারে’রা ৫ বলে ১। যার ফলে নাটকীয়ভাবে বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। নিজেদের ইনিংসে ১৪ থেকে ১৯ ওভার পর্যন্ত কোনো বাউন্ডারিই হাঁকাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। এই পাঁচ ওভারে আসে মাত্র ২৪ রান, হারায় ৫টি উইকেট।

যার ফলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাকি থাকে ১৫ রান। টম কুরানের করা সেই ওভারের দ্বিতীয় বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে আশার আলো দেখিয়েছিলেন মার্কাস স্টয়নিস। কিন্তু পরের চার বল থেকে মাত্র ৬ রান খরচ করেন কুরান, ২ রানের অসাধারণ এক জয় পায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড।

অপরদিকে ইংলিশদের ইনিংসেও শেষটা ছিল হতাশার। দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জস বাটলার। পাওয়ার প্লের পূর্ণ সুবিধা নিয়ে ৫ চার ও ২ ছয়ের মারে খেলেন ২৯ বলে ৪৪ রানের ইনিংস। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৫৫ রান করে ইংল্যান্ড।

এরপর নিজের ধারাবাহিকতার আরও এক নজির স্থাপন করেন ডেভিড মালান। ক্যারিয়ারের ১৪তম ম্যাচ খেলতে নেমে অষ্টমবারের মতো পঞ্চাশ পেরিয়ে যান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তার ব্যাট থেকে আসে ৫ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৪৩ বলে ৬৬ রানের ইনিংস।

একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল অনায়াসেই ১৮০ রান পার করে ফেলবে ইংল্যান্ড। কিন্তু টম ব্যান্টন ১০ বলে ৮, ইয়ন মরগ্যান ৩ বলে ৫, মঈন আলি ৬ বলে ২ ও টম কুরানরা ১০ বলে ৬ হতাশ করলে সংগ্রহটা বড় হয়নি ইংলিশদের। শেষদিকে ৮ বলে ১৪ রানের ক্যামিও খেলেন ক্রিস জর্ডান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

অস্ট্রেলিয়াকে নাটকীয়ভাবে ২ রানে হারালো ইংল্যান্ড

Update Time : ০৯:৫৯:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

ক্রীড়া ডেস্ক: তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই রানের জয় পেয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। সাউদাম্পটনে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ইয়ন মর্গ্যানের নেতৃত্বে ব্যাটিংয়ে নেমে ডেভিড মালানের অর্ধ শতক রানে সাত উইকেটে দলীয় ১’শ ৬২ রান করে ইংল্যান্ড।

ইংল্যান্ডের করা ১৬২ রানের জবাবে ১ উইকেটে ১২৪ রান করে ফেলার পরেও জিততে পারেনি পারেনি অ্যারন ফিঞ্চের দল। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস থেমেছে ১৬০ রানে। চতুর্থবারের মতো ২ বা তার কম রানে জিতল ইংল্যান্ড, অজিরা তৃতীয়বারের মতো হারল ২ রানে।

অথচ রান তাড়া করতে নেমে অজিদের উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ। দুজন মিলে মাত্র ১১ ওভারেই করে ফেলেন ৯৮ রান। মাত্র ৬২ ইনিংসে টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসেবে ২০০০ রানের মাইলফলকে পৌঁছান ফিঞ্চ। তার সামনে শুধু বিরাট কোহলি, ৫৬ ইনিংসে করেছিলেন ২০০০ রান।

মাইলফলকের দেখা পেলেও ফিফটি করতে পারেননি অজি  অধিনায়ক, ১১তম ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৭ চার ও ১ ছয়ের মারে খেলেন ৩২ বলে ৪৬ রানের ইনিংস। তবে অপরপ্রান্তে ক্যারিয়ারের ১৮তম অর্ধশতক তুলে নেন ডেভিড ওয়ার্নার। আউট হওয়ার সময় তার নামের পাশে ছিল ৪৭ বলে ৫৮ রান।

তবে হতাশ করেন স্টিভেন স্মিথ ১১ বলে ১৮, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২ বলে ১, অ্যালেক্স ক্যারে’রা ৫ বলে ১। যার ফলে নাটকীয়ভাবে বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। নিজেদের ইনিংসে ১৪ থেকে ১৯ ওভার পর্যন্ত কোনো বাউন্ডারিই হাঁকাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। এই পাঁচ ওভারে আসে মাত্র ২৪ রান, হারায় ৫টি উইকেট।

যার ফলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাকি থাকে ১৫ রান। টম কুরানের করা সেই ওভারের দ্বিতীয় বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে আশার আলো দেখিয়েছিলেন মার্কাস স্টয়নিস। কিন্তু পরের চার বল থেকে মাত্র ৬ রান খরচ করেন কুরান, ২ রানের অসাধারণ এক জয় পায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড।

অপরদিকে ইংলিশদের ইনিংসেও শেষটা ছিল হতাশার। দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জস বাটলার। পাওয়ার প্লের পূর্ণ সুবিধা নিয়ে ৫ চার ও ২ ছয়ের মারে খেলেন ২৯ বলে ৪৪ রানের ইনিংস। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৫৫ রান করে ইংল্যান্ড।

এরপর নিজের ধারাবাহিকতার আরও এক নজির স্থাপন করেন ডেভিড মালান। ক্যারিয়ারের ১৪তম ম্যাচ খেলতে নেমে অষ্টমবারের মতো পঞ্চাশ পেরিয়ে যান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তার ব্যাট থেকে আসে ৫ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৪৩ বলে ৬৬ রানের ইনিংস।

একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল অনায়াসেই ১৮০ রান পার করে ফেলবে ইংল্যান্ড। কিন্তু টম ব্যান্টন ১০ বলে ৮, ইয়ন মরগ্যান ৩ বলে ৫, মঈন আলি ৬ বলে ২ ও টম কুরানরা ১০ বলে ৬ হতাশ করলে সংগ্রহটা বড় হয়নি ইংলিশদের। শেষদিকে ৮ বলে ১৪ রানের ক্যামিও খেলেন ক্রিস জর্ডান।