ইউএনও ওয়াহিদা খানমের উপর হামলা দুঃখজনক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘হামলাকারীদের যারা রক্ষা করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই বিবেচনা করি।’ জাতীয় সংসদে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে আজ বুধবার তিনি এ কথা বলেন। এছাড়া মুজিববর্ষেই সব গৃহহীনদেরও পুনর্বাসন করা হবে বলে জানান সংসদ নেতা।
একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে প্রশ্ন উত্তর পর্বে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সমসাময়িক বেশ কয়েকটি ঘটনা নিয়ে সাংসদদের প্রশ্নের জাবাব দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে অপরাধীদের চিহ্নিত এবং গ্রেফতার করেছি। এর পেছনে আর কে ছিল বা কে এই আক্রমণ চালানোর জন্য তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত প্রক্রিয়ায় কোনো ঘাটতি নেই এবং ঘাটতি হবেও না।’
তিনি বলেন, ‘অপরাধীদের অবশ্যই শাস্তি দেওয়া হবে। আমি অন্তত এটা বলতে পারি যে, আমরা এটি নিশ্চিত করবো।’ প্রধানমন্ত্রী এ সময় সংসদ সদস্যদের অনুরোধ করেন যাতে কোনো সংসদ সদস্য এ জাতীয় অপরাধীদের রক্ষার চেষ্টা না করেন। তিনি বলেন, ‘যারা অপরাধ করে এবং যারা অপরাধীদের রক্ষা করে তারাও সমান দোষী।’
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমি একজন অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখি। তিনি কোন দলের সাথে বা তিনি কে তা আমি বিবেচনা করি না। তারা (অপরাধীরা) আমার দলের অন্তর্ভুক্ত হলেও আমি রেহাই দেব না।’ তিনি বলেন, ‘কেবল চুরির উদ্দেশ্যেই নয়, হামলার পেছনে আরও কী কারণ থাকতে পারে তাও খতিয়ে দেখার জন্য সঠিকভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।’
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রশয় দিয়েছিল ৭৫ পরবর্তি সরকার। তারা দেশকে অনিয়মের মধ্যে ঠেলে দেয়। এমন দেশকে নিয়মের মধ্যে আনা কঠিন বলেও মন্তব্য করেন সংসদ নেতা।
মুজিববর্ষে দেশের সকল গৃহহীনের তালিকা করে পূনর্বাসন করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তাছাড়া নদী ভাঙ্গনের স্বীকার মানুষদের পুনর্বাসনের বিষয়টিও সংসদ অধিবেশনে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।